শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এক ইরানি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার পর তেহরান ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলার জবাব হবে কঠোর ও সুস্পষ্ট।’ তিনি আরও জানান, ইরানের পাল্টা পদক্ষেপের বিস্তারিত নিয়ে ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে হামলার প্রতিবাদে ইসলামিক বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সায়্যদে আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলকে বেদনাদায়ক শাস্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরায়েলের হামলার পর দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েলকে ‘গুরুতর শাস্তির’ জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং তারা অবশ্যই এ হামলার ‘ফল ভোগ করবে’।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতিসংঘ সনদের অধীনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ‘আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত’ জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে তেহরানের।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলে, ‘ইরানের বিরুদ্ধে জায়োনিস্ট শাসনের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয় ও অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়। সুতরাং, এ শাসনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও এই দুঃসাহসিকতার বিপজ্জনক প্রভাব ও পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে।’

তবে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, এই হামলার সঙ্গে তারা কোনোভাবে যুক্ত নয়। ইরানকে মার্কিন কোনো সম্পত্তি বা অবকাঠামোতে হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন।

ইরানের বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলের হামলায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান, দুজন পরমাণু বিজ্ঞানী ও নারী-শিশুসহ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।

এদিকে এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম বেড়ে গেছে। অন্যদিকে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।